স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল ৯ রান। হাতে দুই উইকেট।
ফলে একটু উনিশ-বিশ হলেই জয় ফসকে যাওয়ার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতে দারুণভাবে ম্যাচটি বের করে আনলেন খুলনার আরিফুল হক। শেষ ওভারে রাজশাহীর হয়ে বোলিং আক্রমণে আসা ডোয়াইন স্মিথের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন আরিফুল। আর দ্বিতীয় বলে স্কূপ করে বাউন্ডারি মেরে উল্লাসে ফেটে পড়েন। ফলে শেষ দিকে খুলনার ব্যাটসম্যাদের আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলেও শিহরণ জাগিয়ে ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে খুলনা।
এদিন রাজশাহীর ১৬৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় খুলনা। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান যোগ হওয়ার আগেই ফিরে যান দুই বিদেশি চাঁদউইক ওয়ালটন ও সেকুগে প্রসন্ন। এরপর রাইলি রুশোকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন দলীয় অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ৮০ রানে ২০ রান করে ফিরে যান রুশো।
এরপর স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতেই নেই অধিনায়কও। তবে আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৫৬ রান করার পাশাপাশি দলকে একটা ভালো অবস্থানে রেখে যান মাহমুদুল্লাহ। তবে পরের ব্যাটসম্যানরা আফিফ হোসেন (০৫), কার্লোস ব্রাথওয়েট (১২) কিংবা নাজমুল হাসান শান্ত (০৪) কেউ থিঁতু হতে পারেননি। ফলে ম্যাচ হেলে পড়ে রাজশাহীর দিকে।
এরপর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন আরিফুল হক। লেট অর্ডারদের নিয়ে লড়াইটা তিনি একাই চালিয়েছেন। ১৭তম ওভারে খুলনার স্কোরবোর্ডে ১৮ রান যোগ হওয়ার পরই আবারও জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে খুলনা। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। কিন্তু প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়েই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আরিফুল। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
এর আগে, ডোয়াইন স্মিথ ও মুশফিকুর রহিমের অর্ধশতকের ওপর ভর করে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। যদিও দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান ঝড় তুললেও মিডল অর্ডার ও লেট অর্ডারদের ব্যর্থতায় ১৬৬ রানেই থামে রাজশাহীর ইনিংস।